ইউরোপীয় ইউনিয়নের এমিশন ট্রেডিং সিস্টেম (ইইউ ইটিএস) সম্পূর্ণ রূপে বাস্তবায়িত হলে ইউরোপীয় বন্দরে কার্যক্রম পরিচালনাকারী এশীয় জাহাজ মালিকদের এমিশন লায়াবিলিটি ১১০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। সম্প্রতি হামবুর্গ-ভিত্তিক মেরিটাইম টেকনোলজি ফার্ম ওশানস্কোর এ তথ্য জানায়।
গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণে লাগাম টানতে ২০০৫ সালে এমিশন ট্রেডিং সিস্টেম চালু করে ইইউ। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাস থেকে মেরিটাইম খাতকে ইইউ ইটিএসের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে ইউরোপীয় বন্দরগুলোয় আসা-যাওয়া করা এবং ইউরোপের মধ্যে কার্যক্রম পরিচালনাকারী জাহাজগুলো নিঃসৃত গ্রিন হাউস গ্যাসের ৪০ শতাংশের জন্য দায়বদ্ধ থাকে। তবে সময়ের সাথে সাথে এই দায়বদ্ধতার পরিমাণ বাড়বে। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে দায়বদ্ধতার পরিমাণ ৭০ শতাংশ ও ২০২৬ সালে ১০০ শতাংশে পৌঁছবে।
চলতি বছর ইটিএস দ্বারা এশীয় পতাকাবাহী চার সহস্রাধিক জাহাজ প্রভাবিত হবে, যা ইইউ ইটিএসের আওতাভুক্ত মোট যাত্রীবাহী জাহাজ (৫ হাজার গ্রস টনের বেশি) ও সাড়ে ১২ হাজার কার্গো জাহাজের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। কসকো, এইচএমএম, অ্যাংলো-ইস্টার্ন শিপ ম্যানেজমেন্টসহ ৪ শতাধিক ডকুমেন্টস অব কমপ্লায়েন্স (ডিওসি) হোল্ডার এসব জাহাজের মালিকানা বা পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে। এমিশন ট্যাক্সের দ্বারা চীন ও সিঙ্গাপুরে নিবন্ধিত কোম্পানিগুলো সবচেয়ে প্রভাবিত হবে। ওশানস্কোরের তথ্যমতে, চলতি বছর গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণের জন্য এশিয় জাহাজ মালিকদের ৫৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার এমিশন ট্যাক্স প্রদান করতে হবে। তিন ধাপে ইটিএস শতভাগ বাস্তবায়িত হলে ট্যাক্সের পরিমাণ ১১০ কোটি ডলার ছাড়াবে। তবে কার্বনের দাম অস্থিতিশীল হওয়ায় ট্যাক্সের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।