চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে গত ১৯ জানুয়ারি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম (বীর প্রতীক), পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের উপস্থিতিতে চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্তের আলোকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের আওতাধীন কর্ণফুলী নদী সংলগ্ন বিভিন্ন খালের অংশে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নাব্যতা বৃদ্ধি ও বর্জ্য অপসারণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিশেষ করে রাজাখালী খাল, চাক্তাই খালসহ চট্টগ্রাম শহর থেকে কর্ণফুলী নদীর সাথে যুক্ত হওয়া বিভিন্ন খাল ও নালার মুখে ভেসে আসা প্লাস্টিক ও অপচনশীল বর্জ্য অপসারণের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ নিজস্ব উদ্যোগ ও অর্থায়নে খালের পানি প্রবাহ ঠিক রাখার কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ দীঘদিন নিজস্ব উদ্যোগ এবং অর্থায়নে কর্ণফুলী নদীর মূল চ্যানেলে ড্রেজিংয়ের পাশাপাশি খালের বর্জ্য অপসারণ করে চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এজন্য বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মাধ্যমে একটি প্রকল্প অত্যন্ত সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রকল্পের আওতায় ৫৫ লক্ষ ঘনমিটার ড্রেজিং কাজ শেষ হয়েছে। আগামী জুনে প্রকল্পটি শেষ হবে। প্রকল্পটি শেষ হওয়ার পরেও নগরবাসীর জীবনযাত্রা স্বস্তিময় করতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এ ধরণের কার্যক্রম নিয়মিত চালু রাখবে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জলাবদ্ধতার মূল সমস্যা খালের অভ্যন্তরে ফেলা ময়লা আবর্জনার কারণে সৃষ্টি হয়েছে, যা সমাধান করা চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের এখতিয়ার বহির্ভূত। নগরবাসীর ফেলা বিভিন্ন প্রকারের বর্জ্য সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে খালগুলোকে নিয়মিত পরিষ্কার না রাখলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের গৃহীত এ সকল কার্যক্রমের সুফল নগরবাসী পাবেনা।
বন্দর কর্তৃপক্ষ বর্তমানে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ২টি কাটার সাকশান ড্রেজারের পাশাপাশি নিজস্ব ফ্লিটের একটি এম্পিবিয়াস ড্রেজার এবং বর্জ্য অপসারণকারী জাহাজ বে ক্লিনার-১ প্রকল্প এলাকায় নিয়োজিত রেখে নগরবাসীর দূর্ভোগ লাঘবের আন্তরিক চেষ্টা করছে। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই খালের মুখে পানি প্রবাহ বৃদ্ধির পাবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া বন্দর কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বিত উদ্যোগে বর্জ্য নদী-নালা-খাল-ড্রেন ইত্যাদিতে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থেকে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা সমস্যা নিরসনে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছে।