লাইটার জাহাজে আমদানি পণ্যের অবৈধ মজুদ ঠেকাতে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। বুধবার বাংলাদেশ নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানের অংশ হিসেবে যৌথ দল অন্তত ১৫টি লাইটার জাহাজ পরিদর্শন করে। তবে এই সময় একটি লাইটার জাহাজ পণ্যভর্তি পেলেও সেটি (বুধবার) লোড করা হয়েছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। তবে অভিযানে নিয়ম লঙ্ঘনের দায়ে দুটি লাইটার জাহাজকে ২০ হাজার করে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আমদানিকৃত পণ্য নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় ধরে সংরক্ষণ করতে লাইটার জাহাজকে ‘ভাসমান গুদাম’হিসেবে ব্যবহার করছেন। এমন অভিযোগ ওঠার পর গত ২৬ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ একটি সার্কুলার জারি করে বন্দরের বহির্নোঙরে পণ্য বোঝাইয়ের পর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যাতে বহির্নোঙর ত্যাগ করে। এটি নিশ্চিত করতেই বুধবার বন্দরের বহির্নোঙরে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে অংশ নেওয়া বন্দর কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আফরিন কচি বলেন, বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে ব্যবসায়ীরা লাইটার জাহাজে পণ্য মজুদ করে রেখেছেন কি না সেটি তদারকি করতে যৌথ উদ্যোগে অভিযান পরিচালনা করেছি। অভিযানে লাইটার জাহাজে পণ্য মজুদ করে রাখার তেমন কোনো প্রমাণ মেলেনি। একটি জাহাজ আমরা পণ্যভর্তি অবস্থায় পেয়েছি, তারা জানিয়েছে আজ জাহাজটিতে পণ্য বোঝাই করা হয়।
তিনি আরও বলেন, অভিযানে নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে দুটি লাইটার জাহাজকে আমরা ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছি। এর মধ্যে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি পণ্য লোড করার কারণে এমটি ইরাবতিকে ২০ হাজার টাকা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ অগ্নিনির্বাপক লাইসেন্স নিয়ে কার্যক্রম চালানোর দায়ে এমটি এভারগ্রিনকেও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।