জেটি সংস্কারের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরের জেনারেল কার্গো বার্থে জুনের শেষ সপ্তাহ থেকে স্ক্র্যাপবাহী জাহাজ ভেড়ানো সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনকে বন্দর থেকে জানানো হয়েছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। জেটিতে জাহাজ ভেড়ানো নিরবচ্ছিন্ন রাখতে গর্ত সংস্কারের এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমবে। ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে জেটিতে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, ‘জিসিবিতে (১ থেকে ৭ নম্বর জেটিতে) ৫০টি গর্ত তৈরি হয়েছে। গর্তগুলো বড় হয়ে যাওয়ায় জেটির রডও বেরিয়ে গেছে এবং যেকোনো সময় বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। তখন এসব জেটিতে আর জাহাজ ভেড়ানো যাবে না। তাই দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের স্বার্থে শুধু স্ক্র্যাপবাহী জাহাজ ভেড়ানো বন্ধ করে অন্যান্য সকল পণ্যবাহী জাহাজ এখানে ভেড়ানোর সুযোগ রাখা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বন্দরের বহির্নোঙরে, কর্ণফুলী জেটিতে, ড্রাইডক জেটিতে এবং কনটেইনারের মাধ্যমে স্ক্র্যাপ আনতে পারবে। তাই স্ক্র্যাপবাহী জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে আসা বন্ধ থাকবে না, শুধু ভেড়ানোর জায়গা পরিবর্তন করা হয়েছে বন্দরের স্বার্থে। গত ৭০ বছরে জেটি সংস্কার হয়নি। কয়েক বছর ধরে স্ক্র্যাপবাহী জাহাজগুলো থেকে পণ্য নামানোর সময় জেটির ক্ষতি হয়েছে। এজন্য জেটিতে স্টিলের কাঠামো তৈরির কথাও বলেছিলাম। এখন ২ ও ৩ নম্বর জেটিতে স্টিলের কাঠামো করা হবে এবং সেখানেই শুধু স্ক্র্যাপবাহী জাহাজ ভিড়তে পারবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জেটি সংস্কারে ২৮ দিন সময় লাগতে পারে। পুরোদমে সংস্কারকাজ চলছে। ২৮ দিন পর আবারও স্ক্র্যাপবাহী জাহাজ নির্ধারিত জেটিতে ভিড়তে পারবে।’