২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যের লন্ডনে তাদের সদর দপ্তরে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের ৩০তম সাধারণ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। ১৬৫টি সদস্য রাষ্ট্র থেকে মোট ১৪০০ জন অংশগ্রহণ করেছিলেন সেই সভায়। তাছাড়াও সরকারি এবং বেসরকারি বহু প্রতিষ্ঠানের পর্যবেক্ষকরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
দিক-নির্দেশনা এবং গৃহীত লক্ষ্যসমূহ
সাধারণ অধিবেশনে ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সময়কালের জন্য গৃৃহীত কৌশলগত পরিকল্পনায় একটি সংশোধিত মিশন স্টেটমেন্ট এবং সাতটি নবচিহ্নিত দিক-নির্দেশনার পাশাপাশি প্রথমবারের মতো একটি ভিশন স্টেটমেন্ট অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর মাধ্যমে মূলত জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা বাস্তবায়নে আইএমও’র অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত ও দৃঢ় করা হয়েছে।
কৌশলগত দিক-নির্দেশনাগুলো হলো :
- আইএমও’র প্রায়োগিক ক্ষেত্র প্রসারিত করা – সব ধরনের লক্ষ্যমাত্রার কার্যকর, ফলপ্রসূ এবং নিয়মিত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
- নিয়ন্ত্রণ কাঠামোতে নতুন ও আধুনিক প্রযুক্তি সংযোজন – সমুদ্র নিরাপত্তা সঙ্কট এবং পরিবেশের উপর বহুমুখী প্রভাবের কথা বিবেচনা করে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে ভারসাম্য আনতে হবে। এছাড়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সহজ করে তোলার পাশাপাশি নির্মাণশিল্পে প্রযুক্তির কারণে সম্ভাব্য ব্যয় নিয়ে সচেতন থাকতে হবে। অন্যদিকে, সমুদ্রপথ ছাড়াও অন্যান্য অঙ্গনের সংশ্লিষ্ট কর্মীদের ওপর প্রযুক্তির প্রভাব বিবেচনায় আনা জরুরি।
- জলবায়ু পরিবর্তনে ইতিবাচক সাড়া দেওয়া – এক্ষেত্রে যথাযথ, সুদূরপ্রসারী ও বাস্তবিক সমাধান খুঁজে বের করার মাধ্যমে বায়ু দূষণে নৌবাণিজ্যের ভূমিকা কমিয়ে আনতে হবে।
- মহাসাগর নিয়ন্ত্রণ – যেসকল প্রক্রিয়া এবং কৌশলের মাধ্যমে মহাসাগর ও এর সম্পদের যথাযথ পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রণ করা হয়, সেসবে সরাসরি অংশগ্রহণ করতে হবে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সহজ ও নিরাপদ করে তোলা – জাহাজ আগমন ও বহির্গমনের আনুষ্ঠানিকতা এবং দলিল ও প্রত্যয়নপত্রের ব্যবহার, এ ধরনের অফিশিয়াল রীতির দিকে লক্ষ্য রাখার মাধ্যমে সমুদ্র পরিবহন ব্যবস্থার প্রশাসনিক ভার কমিয়ে আনতে হবে।
- বিধিমালার কার্যকারিতা বৃদ্ধি – বাস্তবিক যেসকল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নীতি প্রণয়ন করা হয় তার উন্নতি সাধন প্রয়োজন। বাড়তি উপাত্ত সংগ্রহের মাধ্যমে সেসব নীতিকে আরো কার্যকরী করে তুলতে হবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণে আরো ভালোভাবে ও বুদ্ধিবৃত্তিক উপায়ে বিধিমালার প্রয়োগ করা জরুরি। সদস্য রাষ্ট্র্রসমূহ ও ইন্ডাস্ট্রির তরফ থেকে যথাক্রমিক প্রতিক্রিয়া জানার মাধ্যমে আইওএম’র নিয়ন্ত্রণ কাঠামোতে সেসব অভিজ্ঞতা প্রাসঙ্গিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করাও দরকার।
- প্রাতিষ্ঠানিক কার্যকারিতা নিশ্চিত করা Ñ একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে আইএমওসহ এর সকল সদস্য রাষ্ট্র, দাতা সংস্থা, দপ্তর এবং বেসরকারি সংস্থার মতো আইনগতভাবে দায়বদ্ধ সব অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের সার্বিক কার্যদক্ষতা বাড়াতে হবে।
ভিশন স্টেটমেন্ট
সমুদ্র পরিবহন ব্যবস্থার বৈশ্বিক নিয়ন্ত্রক হিসেবে নিজেদের অবস্থান বহাল রাখবে আইএমও। এই খাতের প্রয়োজনীয়তা ও সামর্থ আরো অধিক হারে জানান দেওয়ার পাশাপাশি নৌবাণিজ্যের উন্নতি অব্যাহত থাকবে। একই সাথে প্রযুক্তি ও বিশ্ব বাণিজ্যের চলমান অগ্রগতির দিকে লক্ষ্য রাখার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
এক্ষেত্রে সক্রিয়ভাবে ক্রমবর্ধমান সঙ্কটসমূহ যথাযথভাবে চিহ্নিত, পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করে টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা এর লক্ষ্যমাত্রার প্রায়োগিক নিশ্চয়তা বৃদ্ধিতে সদস্য দেশগুলোকে সহায়তা প্রদান করবে আইএমও।
কারিগরি সহযোগিতার মাধ্যমে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার প্রয়োগ
অধিবেশনটিতে তিনটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যা মূলত টেকসই উন্নয়ন অর্জন ও লক্ষ্যমাত্রার প্রয়োগে আইএমও’র কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
উত্থাপিত প্রথম প্রস্তাবে আইএমও’র কারিগরি সহযোগিতামূলক কর্মকান্ড এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা এর মধ্যকার যোগসূত্রগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। যেসব কার্যক্রমের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন অর্জনের পাশাপাশি আইএমও বিধিমালার কার্যকরী প্রয়োগ ও দ্রুত অনুমোদন সম্ভব – আইএমও’র কারিগরি সহায়তা কমিটিকে সেগুলোর দিকে অধিক নজর দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে স্বল্পোন্নত দেশ, আফ্রিকার নৌপরিবহন ব্যবস্থা এবং উন্নয়নশীল দ্বীপ রাষ্ট্রসমূহের বিশেষ চাহিদাগুলো বিবেচনায় আনতে হবে।
দ্বিতীয় প্রস্তাবে সদস্য দেশগুলোকে জাতিসংঘ উন্নয়ন সহযোগিতামূলক কাঠামোর (ইউএনডিএএফ) সাপেক্ষে তাদের সমুদ্র সঙ্কটের সমন্বয় সাধনের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর ফলশ্রুতিতে এসব দেশ তাদের মেরিটাইম কারিগরি সহযোগিতা কার্যক্রমের সঠিক অর্থায়ন এবং সহায়তার জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলো আগে চিহ্নিত করে নিতে পারবে।
তৃতীয় সিদ্ধান্তে কার্যকরী এবং টেকসই কারিগরি সহায়তা কার্যক্রমের জন্য অর্থায়ন ও অংশীদারিত্ব ব্যবস্থার দিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছে। সদস্য দেশ, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানসমূহ, বেসরকারি সংস্থা এবং ইন্ডাস্ট্রিগুলোকে নানাবিধ উপায়ে কারিগরি সহযোগিতায় সক্রিয় অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হয়। এর মাঝে রয়েছে দাতব্য কার্যক্রম, আইএমও মাল্টি-ডোনার ট্রাস্ট ফান্ডে আর্থিক জোগানের ব্যবস্থা করা, বিবিধ দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সম্পাদন এবং অবৈতনিক পরামর্শদাতা ও দাতব্য যন্ত্রপাতি সরবরাহের মাধ্যমে অনার্থিক সহায়তা প্রদান।
সমুদ্র্রে প্লাস্টিক দূষণ
জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ১৪ (সমুদ্র ও মহাসাগর সংরক্ষণ এবং তাদের সম্পদসমূহের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করা) মতে, ২০২৫ সালের মধ্যে সকল প্রকার সমুদ্র্র দূষণ রোধ করার পাশাপাশি ব্যাপক হারে তা কমিয়ে আনতে হবে। এর জন্য বিশেষ করে সামুদ্রিক আবর্জনা ও রাসায়নিক দূষণের দিকে খেয়াল রাখা প্রয়োজন। মহাসাগর নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর অংশ হিসেবে চলমান এই প্লাস্টিক দূষণের সমস্যা আরো বেশি পর্যালোচনার দাবি রাখে বলে অধিবেশনে মন্তব্য করা হয়।
আইএমও এর মার্পোল চুক্তির ৫ নং সংযুক্তিতে জাহাজ থেকে মহাসাগরে সকল প্রকার প্লাস্টিক নিষ্কাশন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও লন্ডন কনভেনশন অ্যান্ড প্রোটকলের মতো বেশ কিছু সমঝোতা চুক্তি সমুদ্রে প্লাস্টিক অপসারণ নিয়ন্ত্রণ করে – সেগুলির সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমেও এই দূষণ রোধ সম্ভব।
অধিবেশনে মার্পোল চুক্তির অধিভুক্ত সকল গোষ্ঠী, সদস্য রাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক মহলকে জোর দেওয়া হয়েছে যেন তারা সামুদ্রিক পরিবেশ সংরক্ষণ কমিটির পরবর্তী সভায় এবং ২০১৮ সালের লন্ডন কনভেনশন অ্যান্ড প্রোটোকলের চুক্তিবদ্ধ গোষ্ঠীদের সম্মেলনে এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রস্তাবনা পেশ করে।
পোলার কোডের দ্বিতীয় পর্যায়
পোলার কোড কার্যকর হয়েছিল ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে। সোলাস ও মার্পোল চুক্তির আওতায় এই বিধি মোতাবেক মেরু অঞ্চলের সমুদ্রে জাহাজ পরিচালনার ব্যাপারে বাড়তি নিয়মাবলি সংযোজন করা হয়, যা মেরু অঞ্চলের পরিবেশের নিরাপত্তা প্রদানে কাজ করে থাকে।
তবে সোলাস চুক্তিতে অপেক্ষাকৃত ছোট আকারের এবং মাছ ধরার জাহাজগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তাই ২০১৮ সালের মে মাসে পোলার কোডের দ্বিতীয় পর্যায়ে সেসব সংযোজিত হবে।
মাছ ধরার জাহাজে আইএমও নাম্বারিং স্কিমের প্রয়োগ
১০০ গ্রস টনের উপরে সব ধরনের জাহাজে আইএমও নাম্বারিং স্কিম ব্যবহার করা হয়। ১০০ গ্রস টন ধারণক্ষমতা ও তার ঊর্ধ্বে সব যাত্রীবাহী জাহাজ এবং ৩০০ গ্রস টন ধারণক্ষমতা ও তার ঊর্ধ্বে সকল মালবাহী জাহাজের জন্য এই স্কিম বাধ্যতামূলক। ২০১৩ সালের অধিবেশনে নাম্বারিং স্কিমের ঐচ্ছিক অনুমোদনের জন্য ১০০ গ্রস টনের মাছ ধরার জাহাজগুলোকে নির্ধারিত করা হয়। পরবর্তী ঐচ্ছিক অনুমোদন প্রক্রিয়ায় ১০০ গ্রস টনের নিচে যাত্রীবাহী জাহাজ, ইস্পাতনির্মিত ও ইস্পাতনির্মিত নয় এমন মাছ ধরার জাহাজ এবং ১০০ গ্রস টনের নিচে সর্বোচ্চ ১২ মিটার দৈর্ঘ্যের মোটরচালিত আন্তর্জাতিক সমুদ্রে বিচরণকারী মাছ ধরার জাহাজগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
নাম্বারিং স্কিম ব্যবহার করে সমুদ্রে মাছ ধরার জাহাজ শনাক্ত করার ফলে তাদের মালিকানা নিশ্চিত করা যাবে সহজেই। ফলশ্রুতিতে অবৈধ, অনিয়ন্ত্রিত এবং বিলুপ্তপ্রায় মাছ ধরা প্রতিহত করা সম্ভব হবে। তাছাড়া এ ধরনের মাছ ধরার বিরুদ্ধে উদ্যোগ নিতে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এবং ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশনের (আইএলও) সাথে জড়িত আছে আইএমও।
পোর্ট স্টেট কন্ট্রোল সংশোধন
নিম্নমানের জাহাজ শনাক্ত করার জন্য পোর্ট স্টেট কন্ট্রোল চূড়ান্ত ভূমিকা রাখে। অধিবেশনে পোর্ট স্টেট কন্ট্রোলের কার্যপ্রণালী সংশোধনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এ সিদ্ধান্ত মতে ২০১১ সালের কার্যপ্রণালী হালনাগাদ করে ইন্টারন্যাশনাল সেফটি ম্যানেজমেন্ট কোডে পরিবর্তন আনা হয়েছে। সংশোধনের ক্ষেত্রে নাবিকদের প্রত্যয়ন, বিশ্রাম ও দায়িত্ব পালনের সময়কালের পাশাপাশি ‘১৯৭৪ সোলাস সম্মেলন’ এ গৃহীত সংশোধনসমূহের ঐচ্ছিক ও দ্রুততর প্রয়োগ এবং বাধ্যতামূলক নীতিমালার ব্যাপারে আলোকপাত করা হয়।
২০১০ এইচএনএস প্রোটোকল অনুমোদনের সুপারিশ
তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের মতো (এলএনজি) বিপজ্জনক ও ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ সমুদ্রপথে পরিবহনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় দায়বদ্ধতা তৈরির লক্ষ্যে একটি সর্বজনীন ব্যবস্থা গ্রহণের পদ্ধতি বিবেচনায় নেওয়ার জন্য অধিবেশনে উপস্থিত সদস্যদের কাছে সুপারিশ করা হয়।
সদস্য দেশগুলোকে ২০১০ সালের এইচএনএস (হ্যাজার্ডাস অ্যান্ড নকশাস সাবস্ট্যান্সেস) প্রোটোকল অনুমোদন করা বা তাতে সম্মতি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। একই সাথে এইচএনএস প্রোটোকল কার্যকর করে তোলা ও সংশ্লিষ্ট নীতিসমূহ প্রয়োগ করার জন্য এবং নতুন শাসনতন্ত্র গঠনে সকল সদস্যকে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়।
ইন্স্যুরেন্স সার্টিফিকেট প্রদানের প্রতিনিধি নির্বাচন
১৯৯২ সালের ‘ইন্ট্যারন্যাশনাল কনভেনশন অন সিভিল লায়াবিলিটি ফর অয়েল পলিউশন ড্যামেজ’ এবং ২০১০ এইচএনএস কনভেনশনের আওতায় ইন্স্যুরেন্স সার্টিফিকেট প্রদানের প্রতিনিধি কর্তৃপক্ষ নির্বাচনের সুযোগ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে অধিবেশনে একটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
২০১০ এইচএনএস কনভেনশন এবং ১৯৯২ সিভিল লায়াবিলিটি কনভেনশনে ইন্স্যুরেন্স সার্টিফিকেট প্রদানের জন্য প্রতিনিধি নির্বাচনের কোনো স্পষ্ট কাঠামোর উল্লেখ নেই। তবে ২০০১ এর বাঙ্কার্স কনভেনশন, ২০০২ এথেন্স কনভেনশন এবং ২০০৭ নাইরোবি রেক রিমুভাল কনভেনশনে কাঠামো সুনির্দিষ্ট করা আছে।
অধিবেশনের গৃহীত সিদ্ধান্তে বলা হয়, ২০১০ এইচএনএস কনভেনশন বা সিভিল লায়াবিলিটি কনভেনশনের আওতায় একটি রাষ্ট্র তার স্বীকৃত কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে এসকল কনভেনশনের জন্য প্রয়োজনীয় ইন্স্যুরেন্স সার্টিফিকেট ও আর্থিক নিরাপত্তা প্রদানের দায়িত্ব অর্পণ করতে পারবে।
একই সাথে জানিয়ে দেওয়া হয়, এই প্রতিনিধি নির্বাচন প্রক্রিয়ার ফলে সে সকল সার্টিফিকেটের প্রতি নির্বাচনকারী রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতার উপর কোনো প্রভাব পড়বে না।
সতর্কবাণী ছাড়া মিসাইল নিক্ষেপকে নিন্দা
উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক মিসাইল নিক্ষেপের ফলে সমুদ্রপথে জাহাজ তথা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ভয়াবহ আশঙ্কার সম্মুখীন হয়েছিল। এ ধরনের অতর্কিত আক্রমণের প্রতি দৃঢ়ভাবে নিন্দা জানিয়েছে আইএমও কাউন্সিল।
আইএমও বাজেট চূড়ান্তকরণ
২০১৮ ও ২০১৯ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটির ফলাফলভিত্তিক ও কর্মসূচির বাজেট গৃহীত হয়; যা ২০১৮ সালের জন্য ৩১,৮৬৪,০০০ পাউন্ড এবং ২০১৯ সালের জন্য ৩৩,২৪২,০০০ পাউন্ড।
আইএমও কাউন্সিল নির্বাচন
২০১৮-২০১৯ দ্বিবর্ষের জন্য ৪০ সদস্যের আইএমও কাউন্সিল নির্বাচন করা হয় এই অধিবেশনে। পুনর্গঠনের পরামর্শসহ ২০১৮ সালের জুন মাসে অনুষ্ঠিতব্য ১২০তম সেশনে অধিবেশনের কার্যপ্রণালী পর্যালোচনার জন্য নির্বাচিত কাউন্সিলকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
কাউন্সিল চেয়ারম্যান নির্বাচন
২০১৭ সালের ৭ ডিসেম্বর নব-নির্বাচিত কাউন্সিলের সভায় চীনের শিয়াউজি জাং-কে কাউন্সিল চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। তবে ভাইস-চেয়াম্যান নির্বাচন পিছিয়ে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান নির্বাচনের পাশাপাশি সাবেক চেয়ারম্যান, যুক্তরাষ্ট্রের জেফ ল্যান্টজের প্রতি তাঁর দায়িত্বশীলতার জন্য কাউন্সিল আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে।