চট্টগ্রামের জাহাজ মেরামতকারী প্রতিষ্ঠান ‘কর্ণফুলী ড্রাই ডক লিমিটেডের’ জেটিতে ৩০ মার্চ প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম বন্দরে আসা পণ্যবাহী জাহাজ ভিড়েছে। জেটিতে ভেড়ানোর পর জাহাজ থেকে রডের কাঁচামাল পুরোনো লোহার টুকরা খালাস করা হয়। বেসরকারি জেটিতে ভেড়ানো জাহাজটি ইস্পাত খাতের প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম গ্রুপের কাঁচামাল নিয়ে এসেছে।
আমদানি পণ্যবাহী জাহাজের অপেক্ষমাণ সময় কমাতে বেসরকারি জেটিতে জাহাজ ভেড়ানোর যে উদ্যোগ চট্টগ্রাম বন্দর নিয়েছে, এটি তারই প্রথম পদক্ষেপ।
কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে আনোয়ারায় কর্ণফুলী ড্রাই ডকের দুটি জেটি রয়েছে। একটি নির্মাণাধীন। আরেকটি জেটির নির্মাণ শেষ হয়েছে এ মাসে। এই জেটিতেই ‘এমভি দিনা ওশেন’ নামের জাহাজটি ভেড়ানো হয়। প্রায় ১৫৪ মিটার লম্বা জাহাজটি জাপান থেকে ১৫ হাজার ২২১ টন পুরোনো লোহার টুকরা নিয়ে আসে।
কর্ণফুলী ড্রাই ডক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ রশিদ বলেন, ‘নির্মাণাধীন জেটিটিও অল্প কিছুদিনের মধ্যে প্রস্তুত হবে। তখন একসঙ্গে দুটো জাহাজ ভেড়ানো যাবে। তাতে দুই জেটিতে মাসে ১০-১২টি জাহাজ ভেড়ানো যাবে। ’
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি বাড়তে থাকায় কয়েক মাস ধরে অপেক্ষমাণ জাহাজের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থায় কর্ণফুলী নদীর দুই পাড়ে সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সব জেটি ব্যবহারের আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে প্রথম ধাপে এই জেটিতে জাহাজ ভেড়ানো হলো।
বিএসআরএম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন সেনগুপ্ত বলেন, ‘বন্দরের খুবই ভালো পদক্ষেপ এটি। কারণ, জেটির অভাবে বহির্নোঙরে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হতো। এ পদক্ষেপে কিছুটা হলেও জট কমবে। বন্দরের চেয়ে এই জেটি ব্যবহারে ঘুরপথে পণ্য কারখানায় নেওয়ার জন্য খরচ একটু বেশি হবে। এরপরও কাঁচামালের অভাবে কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হবে না।’
কয়েক বছর ধরে অনিয়মিতভাবে নৌবাহিনী পরিচালিত জাহাজ মেরামতকারী প্রতিষ্ঠান চিটাগং ড্রাই ডকের জেটি ব্যবহার করে আসছে বন্দর। এ ছাড়া আমদানিকারকের চাহিদা অনুযায়ী বিচ্ছিন্নভাবে মাঝেমধ্যে আরও কয়েকটি সরকারি সংস্থার বিশেষায়িত জেটি ব্যবহৃত হতো।