দেশের রপ্তানি খাতে অবদান রাখায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জাতীয় রপ্তানি ট্রফি পেল ৬৬টি প্রতিষ্ঠান। বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে তাঁর বক্তব্য প্রদান করেন। এতে সভাপতি হিসেবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বিজয়ীদের কাছে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি হস্তান্তর করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘পাকিস্তান থেকে সরে আসার পর বাংলাদেশ আজ সব সূচকেই এগিয়ে। এটাই আমাদের গৌরব। দেশের উদ্যোক্তারাই আজ সফল করেছেন। ’ তিনি বলেন, ‘চলতি অর্থবছরে দেশের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ৫১ বিলিয়ন ডলার ধরা হয়েছে। আশা করছি সেটা পূরণ হবে। ’
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ, এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এ আহসান।
যাঁরা পেলেন রপ্তানি ট্রফি : আলোচ্য অর্থবছরে সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়ের ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি ট্রফি পেয়েছে জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফ্যাব্রিকস লিমিটেড। পোশাকের ওভেন ক্যাটাগরিতে স্বর্ণপদক পেয়েছে হা-মীম গ্রুপের প্রতিষ্ঠান রিফাত গার্মেন্ট।
এ ক্যাটাগরিতে রৌপ্যপদক পেয়েছে একেএম নিটওয়্যার এবং ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে তারাশিমা অ্যাপারেলস লিমিটেড। নিটওয়্যার ক্যাটাগরিতে স্বর্ণপদক পেয়েছে স্কয়ার ফ্যাশনস, রৌপ্যপদক ফোর এইচ ফ্যাশনস এবং ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে জিএমএস কম্পোজিট নিটিং।
সব ধরনের সুতা ক্যাটাগরিতে স্বর্ণপদক বাদশা টেক্সটাইলস ও রৌপ্যপদক পেয়েছে কামাল ইয়ার্ন। আর ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে নাইস কটন। টেক্সটাইল ফ্যাব্রিকসে স্বর্ণপদক এনভয় টেক্সটাইলস ও রৌপ্যপদক পেয়েছে নোমান উইভিং মিলস। ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে ফোর এইচ ডায়িং অ্যান্ড প্রিন্টিং। হোম ও স্পেশালাইজড টেক্সটাইল খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফ্যাব্রিকস। টেরিটাওয়েলে স্বর্ণপদক পেয়েছে নোমান টেরিটাওয়েল মিলস। ইপিজেডভুক্ত বাংলাদেশি মালিকানাধীন তৈরি পোশাক ক্যাটাগরিতে স্বর্ণপদক পেয়েছে ইউনিভার্সেল জিন্স ও রৌপ্যপদক পেয়েছে প্যাসিফিক জিন্স।
হিমায়িত খাদ্যে স্বর্ণপদক পেয়েছে বিডি সি ফুড, রৌপ্যপদক এমইউ সি ফুডস ও ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে জালালাবাদ ফ্রোজেন ফুডস। কাঁচা পাটে ইন্টারন্যাশনাল জুট ট্রেডার্স এবং পাটজাত দ্রব্যে স্বর্ণপদক পেয়েছে আকিজ জুট মিলস ও রৌপ্যপদক পেয়েছে দি গোল্ডেন ফাইবার ট্রেড সেন্টার। চামড়ায় স্বর্ণপদক পেয়েছে এপেক্স ট্যানারি। চামড়াজাত পণ্যে স্বর্ণপদক পেয়েছে পিকার্ড বাংলাদেশ, রৌপ্যপদক এবিসি ফুটওয়্যার এবং ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে বিবিজে লেদার গুডস। ফুটওয়্যার খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে বে-ফুটওয়্যার।
কৃষিজ পণ্যে স্বর্ণপদক পেয়েছে মনসুর জেনারেল ট্রেডিং। হস্তশিল্পজাত পণ্যে স্বর্ণপদক পেয়েছে কারুপণ্য রংপুর। রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পেয়েছে যথাক্রমে ক্লাসিক্যাল হ্যান্ডমেইড প্রডাক্টস ও বিডি ক্রিয়েশন। প্লাস্টিক পণ্যে স্বর্ণপদক পেয়েছে বেঙ্গল প্লাস্টিক। রৌপ্য পেয়েছে অল প্লাস্ট বাংলাদেশ এবং ব্রোঞ্জ পেয়েছে তানভীর পলিমার।
সিরামিকে স্বর্ণপদক পেয়েছে শাইনপুকুর সিরামিকস এবং রৌপ্য পেয়েছে আর্টিসান সিরামিকস। লাইট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ইউনিগ্লোরি সাইকেল কম্পোনেন্ট স্বর্ণ এবং রৌপ্য পেয়েছে রংপুর মেটাল। ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকসে এনার্জিপ্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং স্বর্ণ এবং রৌপ্য পেয়েছে বিআরবি কেবল। অন্যান্য শিল্পজাত পণ্যে স্বর্ণপদক পেয়েছে বিএসআরএম স্টিলস। রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পেয়েছে মেরিন সেফটি সিস্টেম ও এশিয়া মেটাল মেরিন সার্ভিস। ওষুধ পণ্যে স্বর্ণপদক স্কয়ার ফার্মা এবং রৌপ্য পেয়েছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস।
প্যাকেজিং ও অ্যাকসেসরিজ পণ্যে স্বর্ণপদক পেয়েছে মনট্রিমস লিমিটেড। রৌপ্যপদক পেয়েছে এম অ্যান্ড ইউ প্যাকেজিং এবং ব্রোঞ্জ পেয়েছে মেসার্স ইউনিগ্লোরি প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। অন্যান্য প্রাথমিক পণ্যে স্বর্ণ পেয়েছে অর্কিড ট্রেডিং, রৌপ্য ইকো ফ্রেশ ইন্টারন্যাশনাল। অন্যান্য সেবা খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে মীর টেলিকম। নারী উদ্যোক্তা খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে স্কয়ার টেক্সটাইলস।