একনেকে বে টার্মিনাল প্রকল্প অনুমোদন

বে টার্মিনাল প্রকল্প এলাকা

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১৩ হাজার ৫২৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের ‘বে টার্মিনাল মেরিন ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (বিটিএমআইডিপি)’ অনুমোদন দিয়েছে।

রোববার পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। একনেকের চেয়ারপারসন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ সভায় সভাপতিত্ব করেন।

সভায় মোট ১৬টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যার মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪ হাজার ২৪৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৩ হাজার ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ১৬ হাজার ৭১৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৪ হাজার ৪২৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয় হবে।

অনুমোদিত ১৬টি প্রকল্পের মধ্যে ১৩টি নতুন এবং ৩টি সংশোধিত প্রকল্প।

সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলার পর অবশেষে বে টার্মিনাল প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হলো এবং শিগগিরই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।

তিনি বলেন, আগামী ১৫ থেকে ২০ বছরের বর্ধিত বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড এবং ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনায় চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো অপরিহার্য।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা জানান, পিপিপি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে স্বাক্ষরিত পৃথক সমঝোতা স্মারকের ভিত্তিতে বে টার্মিনালের টার্মিনাল-১ নির্মাণ করবে সিঙ্গাপুরের একটি প্রতিষ্ঠান এবং টার্মিনাল-২ নির্মাণ করবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ডিপি ওয়ার্ল্ড।

তিনি বলেন, বে টার্মিনালের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ১৩ হাজার ৫২৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক ঋণ সহায়তা দেবে ৯ হাজার ৩৩৩ কোটি এবং সরকারি তহবিল থেকে খরচ হবে ৪ হাজার ১৯২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।

প্রকল্পের আওতায় ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ জলবায়ু সহনশীল ব্রেক ওয়াটার নির্মাণ করা হবে, যা বন্দরের জলোচ্ছ্বাস, স্রোত ও প্রতিকূল আবহাওয়া থেকে সুরক্ষা দেবে। পাশাপাশি বন্দর অববাহিকা, প্রবেশপথ ও অ্যাক্সেস চ্যানেলের খননকাজও করা হবে।

আধুনিক এই বে টার্মিনাল আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন অপারেটর দ্বারা পরিচালিত হবে এবং প্যানাম্যাক্স আকারের বড় জাহাজ ভিড়তে পারবে।

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পশ্চিমে অবস্থিত বে টার্মিনালটি ঢাকার সঙ্গে সড়ক ও রেল সংযোগে নিকটবর্তী এবং এটি দেশের মোট কনটেইনার পরিবহনের ৩৬ শতাংশ পরিচালনা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here