সড়ক, সমুদ্র বা আকাশপথে কার্গোজট আগামী বছর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। তাতে পণ্য পরিবহন ব্যয় বাড়বে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ফ্রেইট ব্রোকারদের একটি সিএইচ রবিনসন ওয়ার্ল্ডওয়াইড। প্রতিষ্ঠানটির ভাষ্য হচ্ছে, মার্কিন অভ্যন্তরীণ ফ্রেইট বাজার খুবই এলোমেলো বা বিচ্ছিন্ন। বৈশি^ক আকাশ ও সমুদ্রপথের বাজারও নানা মাত্রায় বাধাগ্রস্ত। ফলে শিপিং ব্যয়ে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাই থাকবে।
সিএইচ রবিনসনের এ পূর্বাভাসে মোটা লাভের আশা দেখছেন ট্রাকার, আকাশপথে পণ্য পরিবহন কোম্পানি এবং মেরিটাইম শিপিং কোম্পানিগুলো। অন্যদিকে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পণ্য সংগ্রহকারী রিটেইলার থেকে শুরু করে উৎপাদক-সবাইকে বাড়তি অর্থ গুনতে হবে।
সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে স্পট কস্টের গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে উঠতে পারছে না দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি। স্পট কস্টের দরুন চলতি বছর ট্রাকে করে দীর্ঘ যাত্রায় পণ্য পরিবহনের ভাড়া দুই অংকের সামান্য নিচে বাড়বে। আকাশপথে পণ্য পরিবহন ব্যয়ও গত বছরের দ্বিগুণ হয়েছে। মেরিটাইমে ভাড়ার হার বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। হংকং থেকে ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যরে একটি কনটেইনার লস অ্যাঞ্জেলেসে পরিবহনের ব্যয় প্রায় চার গুণ হয়েছে।
কার্গোজটের পেছনে কাজ করছে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে মানুষের অন্তরীণ হয়ে পড়া। মুভি থিয়েটার, কনসার্ট বা রেস্তোরাঁয় যাওয়ার বদলে মানুষ এখন আটা বা ট্রেডমিলের পেছনে তাদের অর্থ ব্যয় করছে। যেসব দেশ তাদের নাগরিকদের অর্থসহায়তা প্রদান করছে, সেসব দেশে প্রভাব খুবই তীব্র হয়ে উঠেছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কর্মহীন সুবিধাদি হিসেবে প্রাপ্ত নগদ অর্থের কারণে ট্রাক ও চালকসংকট প্রকট হয়েছে। ফলে সরবরাহ-শৃঙ্খলে জট লেগেছে। আকাশপথে যাত্রা কমার কারণে তা আরও জটিল থেকে জটিলতর হয়েছে।