কনটেইনার স্বল্পতায় ভূমিকা রাখছে ব্ল্যাংকড সেইলিং

শিপিং কনটেইনারের বৈশ্বিক স্বল্পতা এখন শিপিং শিল্পের অন্যতম আলোচিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সংকটের কারণে একদিকে রপ্তানিকারকরা যেমন তাদের পণ্য গন্তব্যে পাঠাতে পারছে না; অন্যদিকে ক্যারিয়ারগুলো যেখানে প্রয়োজন সেখানে প্রয়োজনীয় খালি কনটেইনার পাচ্ছে না। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ড্রিডরি কনটেইনার স্বল্পতার এ সংকটকে সরবরাহ সংকট হিসেবে না দেখে লজিস্টিকস সংকট হিসেবেই দেখছে।

ড্রিউরি তাদের নতুন প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিনিয়োগ স্বল্পতার কারণে এ সংকটের সৃষ্টি হয়নি; বরং সমস্যাটি রিপজিশনিং ইস্যু। ২০২০ সালের প্রথমার্ধ্বে ক্যারিয়ার কোম্পানিগুলো অত্যধিক পরিমাণে খালি কনটেইনার পরিবহন করেছে। আর সেটাই কনটেইনার স্বল্পতা তীব্রতর হওয়ার পেছনে আংশিক ভূমিকা রেখেছে। ড্রিউরির তথ্যে দেখা গেছে, খালি কনটেইনার পরিবহন অত্যধিক মাত্রায় বেড়েছে। ২০২০ সালের দ্বিতীয়ার্ধ্বে কিছু কিছু বাণিজ্যপথে তা ছিল মোট সেইলিংয়ের ৩০ শতাংশ। ফলে চীনের মতো কার্গো চাহিদাকেন্দ্রে খালি কনটেইনারের স্বল্পতা তীব্রতর হয়েছে।

এদিকে ভারতে কনটেইনার স্বল্পতার কারণ হিসেবে বাণিজ্যে ভারসাম্যহীনতা ভূমিকা রেখেছে। ২০২০ সালের এপ্রিল-নভেম্বরে দেশটির আমদানি কমেছে ২২-২৪ শতাংশ। অন্যদিকে রপ্তানি একই সময়ে বেড়েছে ২৯ শতাংশ। ফলে অভ্যন্তরীণ বাজারে কনটেইনারের সংকট দেখা দিয়েছে। আর এ সংকটে বেড়েছে পণ্য পরিবহনের ভাড়া। খাতভিত্তিতে ভাড়া বেড়েছে ২০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত। তাতে লোকসানে পড়েছে রপ্তানিকারকরা।

কনটেইনার ফ্রেইট স্টেশন অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার মহাসচিব উমেশ গ্রোভার এ প্রসঙ্গে বলেন, ভারতের শক্তিশালী আমদানি অংশীদার হচ্ছে চীন। কিন্তু দেশটি থেকে আমদানিতে নজরদারি বাড়ায় এবং কিছু কিছু চীনা পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করায় ভারতে পণ্য আমদানি কিছুটা কমেছে। আর তাতেই রপ্তানির জন্য প্রয়োজনীয় খালি কনটেইনারের সংকট দেখা দিয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here