প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে ১৭ ডিসেম্বর ভার্চুয়াল শীর্ষ বৈঠকের মাধ্যমে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেল সংযোগ পুনরায় চালু হয়। বৈঠকে দুই নেতার ভাষণের পরপরই দুপুর ১২টার দিকে ৫৫ বছর পর এই রেল সংযোগের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
১৯৬৫ সালের আগে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি পথে রেল যোগাযোগ ছিল। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর সেটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সীমান্ত এলাকার প্রায় নয় কিলোমিটার পথে রেললাইন তুলে নেওয়া হয়। ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় দুই দেশের বন্ধ রেল সংযোগগুলো চালুর সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি পথও ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে রেলওয়ে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ অংশের নয় কিলোমিটারে ব্রডগেজ রেললাইন ও অবকাঠামো নির্মাণে ৮০ কোটি টাকার প্রকল্প নেয়। অন্যদিকে ভারত অংশে সাড়ে তিন কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে প্রকল্প নেয় ভারতের সরকার।
বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক যেভাবে এগোচ্ছে, তা প্রশংসনীয় বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর ভাষণে বলেন, ‘‘দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে বরাবরই প্রাধান্য দেয় ভারত।’’
নীলফামারীর চিলাহাটি থেকে ভারতের হলদিবাড়ি সীমান্ত পর্যন্ত বাংলাদেশের ৬ দশমিক ৭২ কিলোমিটার অংশে রেললাইন বসানোর কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। ৮০ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ের ওই প্রকল্পে রেললাইন স্থাপন ছাড়াও বসানো হয়েছে ৪ কিলোমিটার লুপ লাইন, ৮টি লেভেল ক্রসিং, ৯টি ব্রিজসহ অন্যান্য অবকাঠামো।
ভারতও হলদিবাড়ি থেকে বাংলাদেশের সীমান্ত পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপনসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণকাজ শেষ করে তাদের অংশে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালিয়েছে।