দীর্ঘ ও কষ্টকর হবে ক্রুড অয়েল ট্যাংকার বাজার পুনরুদ্ধার

বৈশ্বিক অপরিশোধিত তেলের ট্যাংকার বাজারের আউটলুক (ভবিষ্যৎ আভাস) স্বল্পমেয়াদে তেমন উজ্জ্বল নয়। মেরিটাইম গবেষণা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ড্রিউরি তাদের নতুন এক বিশ্লেষণে এ তথ্য জানিয়েছে। ওই বিশ্লেষণে প্রতিষ্ঠানটি অতিসক্ষমতা এবং তেলের চাহিদায় অনিশ্চয়তার বিষয়টি তুলে ধরেছে। পাশাপাশি ভেসেলের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি মোকাবিলায় এ শিল্প যে ব্যর্থ হয়েছে তাও জানিয়েছে।

ড্রিউরি তাদের বিশ্লেষণে জানায়, অপরিশোধিত তেলের ট্যাংকারের অতিসক্ষমতা কমাতে জাহাজ মালিকদের উদ্যোগে বেশ ঘাটতি ছিল। ২০২০ সালের দ্বিতীয়ার্ধ্বে ভেসেলগুলোর আয়ে যথেষ্ট পতন ঘটলেও ২০১৯ সালের পর মাত্র একটি ভিএলসিসি (বৃহদাকৃতির জাহাজ) ভাঙা হয়েছে। অথচ একই সময়ে বাজারে ঢুকেছে ১০৪টি নতুন ভিএলসিসি।

ভাসমান মজুদাগার হিসেবে ট্যাংকার ব্যবহারের প্রবণতা কমে আসায় আরো বেশি ভেসেল বাজারে সহজলভ্য হয়েছে। ড্রিউরির তথ্য অনুযায়ী, মাত্র ৭৪টি ভিএলসিসি এখন ভাসমান মজুদাগার হিসেবে সক্রিয় রয়েছে। ফলে এর হার ১১ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশে নেমে এসেছে।

সাম্প্রতিক সময়ে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৫০ ডলার পেরিয়ে গেলেও ড্রিউরি জানাচ্ছে, বৈশি^ক তেলের চাহিদা ২০২২ সালের আগে ২০১৯ সালের স্তরে পৌঁছবে না। প্রতিষ্ঠানটির পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বাজারে বেশ কয়েকটি টিকা চলে আসায় তেলের বাজার কিছুটা শক্তিশালী হয়েছে। তবে এগুলোর কার্যকারিতা ও বৈশ্বিক সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে যাওয়ায় বাজার পুরোপুরি পুনরুদ্ধার হতে আরো সময় লাগবে।

বর্তমান বাজার পরিস্থিতির ভিত্তিতে ড্রিউরি জানিয়েছে, পুরনো কিছু ভেসেল ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিলে বাজার কিছুটা পুনরুদ্ধার হতে পারে। কারণ ২০২১ ও ২০২২ সালে আরো ১০২টি নতুন ভেসেল বাজারে প্রবেশ করবে। ফলে অপরিশোধিত তেলের ট্যাংকার বাজারের পুনরুদ্ধার হবে দীর্ঘ ও কষ্টকর।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here