বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশ বৃহত্তর অর্থনীতির দেশ হিসেবে উদিত হচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চট্টগ্রাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। চট্টগ্রাম হবে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যসহ আঞ্চলিক প্রবেশদ্বার।’’ ২১ শে ডিসেম্বর নগরের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালকম-লী, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, ‘‘চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যসহ এমনকি ভুটান, নেপালও উপকৃত হতে পারে। লজিস্টিকস, বন্দর, অবকাঠামো, যোগাযোগ ও ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে কাজ করার প্রচুর সুযোগ রয়েছে। ব্যবসায়ী ও নির্বাহীদের প্রশিক্ষণ প্রদান, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি খাতে মূল্য সংযোজনের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া কনস্ট্রাকশন ইকুইপমেন্ট, মেডিকেল ইকুইপমেন্ট, ফার্মাসিউটিক্যালস ও এপিআই পার্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় উদ্যোগ কার্যকর হবে। চট্টগ্রামে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনা, বে-টার্মিনালে অর্থায়নসহ অবকাঠামো উন্নয়নে ভারতের আগ্রহ রয়েছে।’’
এ সময় তিনি সীমান্তে আইসিডি, ওয়্যারহাউস নির্মাণ, রেললাইন উন্নয়ন ও স্থলবন্দরের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন। চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে উভয় দেশের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে ১০ বছরের উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, হাইকমিশনার ও ব্যবসায়ী নেতাদের সমন্বয়ে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব দেন।
একই দিন তিনি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) ২ ও ৩ নম্বর জেটি পরিদর্শন করেন।