চট্টগ্রামের অভ্যন্তরীণ কনটেইনার টার্মিনালের (আইসিডি) পরিবর্তে বন্দর থেকেই আমদানি করা কাঁচামাল খালাস অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকেরা। তাঁরা বলছেন, আইসিডি থেকে পণ্য খালাসে সময় ও খরচ-দুটোই বেশি লাগে। বর্তমান সংকটময় মুহূর্তে অতিরিক্ত খরচ দিতে হলে পোশাকশিল্পের সক্ষমতা হারাবে।
নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ ২৬ এপ্রিল নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীকে চিঠি দিয়ে আমদানি হওয়া কাঁচামালবাহী কনটেইনার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস অব্যাহত রাখার দাবি জানায়।
বিকেএমইএ দাবি করেছে, বেসরকারি আইসিডিতে পর্যাপ্ত জায়গা, যন্ত্রপাতি ও শ্রমিকস্বল্পতায় পণ্য খালাসে সময়ক্ষেপণ হয়। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে দুই দিনের মধ্যে আমদানি পণ্য খালাস করা গেলেও বেসরকারি আইসিডিতে লাগে ছয় থেকে সাত দিন।
বিকেএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, তৈরি পোশাক খাতের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের বড় অংশই চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে হয়। রপ্তানি কার্যক্রম বেসরকারি আইসিডির মাধ্যমে সম্পন্ন হলেও আমদানি পণ্য খালাস চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে হয়। ফলে লকডাউনের মধ্যেও কোনো রকম প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই আমদানি হওয়া কাঁচামাল পূর্বের নিয়মে খালাস করা হচ্ছে।
বিকেএমইএ দাবি করেছে, বেসরকারি আইসিডির চার্জও চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ে অনেক বেশি। কিছু ক্ষেত্রে রপ্তানিকারকদের জিম্মি করে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয়। এই অতিরিক্ত খরচ ও সময়ক্ষেপণের ফলে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে সক্ষমতা হারাবে, যা আমাদের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে। তাই এই সংকটময় মুহূর্তে অতিরিক্ত চার্জ দিয়ে বেসরকারি আইসিডি থেকে আমদানি করা কাঁচামাল খালাস করা সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, পৃথিবীতে এখন একমাত্র চট্টগ্রাম বন্দরেই বন্দর এলাকার ভিতরে এফসিএল পণ্য খুলে ডেলিভারি করা হয়। মোট আমদানিকৃত পণ্যের হিসাবে তা প্রায় ৭০ শতাংশ। এই কাজে প্রতিদিন প্রায় ৫-৬ হাজার ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করে যানজট তৈরি করে পণ্য হ্যান্ডলিংয়ে ব্যাঘাত ঘটায়। বসরকারি আইসিডিটিতে পণ্য খালাস হলে বন্দরের কনটেইনারজট এবং জাহাজের টার্ন-অ্যারাউন্ড টাইম কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। তাতে করে বন্দরের প্রবৃদ্ধি ৩-৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।