বিভিন্ন মানদণ্ডের ভিত্তিতে বিশ্বের ৩৬টি নৌবাহিনীর নৌ-শক্তিমত্তার একটি র্যাংকিং তৈরি করেছে ওয়ার্ল্ড ডিরেক্টরি অব মডার্ন মিলিটারি ওয়ারশিপস (ডব্লিউডিএমএমডব্লিউ)। এই তালিকায় কানাডা, স্পেন, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশের নৌবাহিনীকে পেছনে ফেলে ১৬তম অবস্থান দখল করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে মার্কিন নৌবাহিনী। বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ চীনের পিপল’স লিবারেশন আর্মি নেভির অবস্থান তার পরই। ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানো রাশিয়ার নৌবাহিনী রয়েছে তৃতীয় অবস্থানে। আর দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে সবার ওপরে রয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী। তালিকায় তাদের অবস্থান সপ্তম।
র্যাংকিং তৈরির ক্ষেত্রে ডব্লিউডিএমএমডব্লিউ যেসব বিষয়কে বিবেচনায় নিয়েছে সেগুলো হলো- যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিনের সংখ্যা, সেগুলোর মূল কাঠামোর বয়স, লজিস্টিকস সাপোর্ট, আক্রমণ ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতা, বাহিনীগুলোর কী পরিমাণ ও কত ধরনের সম্পদ রয়েছে এবং সেগুলো কীভাবে বন্টন করা হয়েছে (ফোর্স ব্যালান্স) ইত্যাদি। ডব্লিউডিএমএমডব্লিউ জাহাজের সংখ্যা নির্ধারণের ক্ষেত্রে ছোট আকারের নৌযান, জরিপ জাহাজ অথবা ঐতিহাসিক সেরিমোনিয়াল ভেসেলকে বিবেচনায় নেয়নি। তালিকায় যুদ্ধজাহাজের বিভিন্ন ক্লাস (যেমন করভেট, ফ্রিগেট, ডেস্ট্রয়ার, ক্রুজার) অনুযায়ী সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে।

ডব্লিউডিএমএমডব্লিউইয়ের ট্রু ভ্যালু রেটিংয়ে বাংলাদেশের পয়েন্ট ৫৮ দশমিক ৬। তাদের মতে, বাংলাদেশ নৌবাহিনী অনেক আধুনিক একটি বাহিনী, যাদের জাহাজগুলোর মূল কাঠামোর গড় বয়স মাত্র ১৪ দশমিক ৩ বছর। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তথ্যের ভিত্তিতে জাহাজের সংখ্যা হিসাব করেছে ডব্লিউডিএমএমডব্লিউ। সে অনুযায়ী, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মোট ৬৬টি জাহাজ রয়েছে, যার মধ্যে দুটি সাবমেরিন, সাতটি ফ্রিগেট, ছয়টি করভেট, পাঁচটি মাইন/কাউন্টারমাইন ওয়ারফেয়ার শিপ, ৩০টি অফশোর প্যাট্রল ভেসেল (ওপিভি) ও ১৬টি অ্যাম্ফিবিয়াস অ্যাসল্ট ভেসেল। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বহরে কোনো বিমানবাহী রণতরী, ক্রুজার ও ডেস্ট্রয়ার নেই।
ডব্লিউডিএমএমডব্লিউ জানিয়েছে, বাংলাদেশ নৌবাহিনী আরও সম্প্রসারিত ও আধুনিক একটি বাহিনীতে পরিণত হওয়ার পথে রয়েছে। বাহিনীটির জন্য নতুন ২১টি জাহাজ নির্মাণের কার্যাদেশ এরই মধ্যে দেওয়া হয়েছে। ডব্লিউডিএমএমডব্লিউ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ফোর্স ব্যালান্সকে ‘মাঝারি’ ক্যাটাগরিতে রেখেছে।
