কলম্বো বন্দরে অগ্রাধিকার পাবে বাংলাদেশি জাহাজ

কলম্বো বন্দর ছবি: Logistics Update Africa

শ্রীলঙ্কা সরকারের মালিকানাধীন জয়া কনটেইনার টার্মিনালে অগ্রাধিকারমূলক নোঙর সুবিধা পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশি ফিডার জাহাজ। এই অগ্রাধিকারমূলক নোঙর সুবিধা পেতে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। অবশেষে শ্রীলঙ্কা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রশান্থা জায়ামান্না এই ঘোষণা দিলেন। কলম্বোয় বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে জানানো হয়, প্রথম অর্থনৈতিক কূটনৈতিক সপ্তাহ উপলক্ষে গত মাসের শেষ দিকে কলম্বোয় বাংলাদেশ দূতাবাস, চট্টগ্রাম ও কলম্বো বন্দরের মধ্যে নৌ যোগাযোগ বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি পরামর্শক সভার আয়োজন করে। ফোরামের উদ্দেশ্য ছিল দুই সমুদ্র বন্দরের মধ্যে নৌ চলাচল সংক্রান্ত সার্বিক বিষয়ের ওপর আলোকপাত করে এ সংক্রান্ত সমঝোতা বৃদ্ধি এবং দুই বন্দরের মধ্যকার অংশীদারত্ব আরও সুসংহত করা। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার বন্দর কর্তৃপক্ষ, টার্মিনাল অপারেটর, মেইন লাইন অপারেটর, ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার্স এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং বন্দর ব্যবহারকারী যেমন, তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা ফোরামে তাঁদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

শ্রীলঙ্কা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রশান্থা জায়ামান্না কলম্বো বন্দরের বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা ও চলমান উন্নয়ন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করেন। এসব পরিকল্পনা ২০২৫-২৬ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন হলে কলম্বো সমুদ্র বন্দরটি বছরে প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা অর্জন করবে।

প্রশান্থা আরও উল্লেখ করেন, শ্রীলঙ্কা সরকারের মালিকানাধীন জয়া কনটেইনার টার্মিনালে বাংলাদেশি ফিডার ভেসেলের জন্য অগ্রাধিকারমূলক নোঙরের সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

শ্রীলঙ্কা বন্দর কর্তৃপক্ষ, বেসরকারি টার্মিনাল পরিচালকেরা এবং সংশ্লিষ্ট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশকে ধারাবাহিক অগ্রাধিকার দেওয়ার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিয়েছে। সম্প্রতি গণমাধ্যমে কলম্বো বন্দর সংক্রান্ত নেতিবাচক প্রচারের বিষয় উল্লেখ করে তাঁরা বলেছেন, শ্রীলঙ্কার সংকটাপন্ন অবস্থায়ও কলম্বো বন্দর পরিচালনা কোনো সমস্যার সম্মুখীন হয়নি। এ ক্ষেত্রে উভয় পক্ষ শিপিং খাত সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।

শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারেক মো. আরিফুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন ব্যাখ্যা করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here