বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাবার, কাঠের ফার্নিচার ও ফলসহ কমপক্ষে সাত ধরনের পণ্য স্থলবন্দরে আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত। যা অবিলম্বে কার্যকর হবে। এসব পণ্য শুধুমাত্র কলকাতা ও মুম্বাই সমুদ্রবন্দর দিয়ে আমদানি করা যাবে। ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠান ইনডিয়ান ডিরক্টোরেট জেনারেল অব ফরেইন ট্রেড (ডিজিএফটি) শনিবার এ ঘোষণা দেয়।
তাদের ঘোষণা অনুযায়ী বাংলাদেশের তৈরি পোশাকসহ এসব পণ্য এখন থেকে শুধুমাত্র নাভা শেভা ও কলকাতা সমুদ্র বন্দর দিয়ে আমদানি করা যাবে। কোনো স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা যাবে না। গত মার্চ মাসে ভারত সরকার স্থলবন্দরে সুতা রপ্তানিতেও নিষেধাজ্ঞা দেয়। তবে নতুন এই নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশ থেকে ভারত হয়ে নেপাল ও ভুটানে রপ্তানি হওয়া পণ্যে কার্যকর হবে না।
তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক ও ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, দুটি সমুদ্র বন্দর কলকাতা ও মুম্বাই ব্যতিত বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানি সীমিত করেছে ভারত; সকল স্থলবন্দর থেকে আমদানি বন্ধ। বিশ্ব বাণিজ্য যখন বিভিন্ন সমস্যাই জর্জরিত ঠিক তখন এ ধরনের পাল্টাপাল্টি বাণিজ্যিক দূরাত্মীকরণ সিদ্ধান্ত ক্ষতির মাত্রা উভয়েরই আরো বাড়াবে।
যেহেতু ভারত বাংলাদেশের একটি বড় ক্রেতা এবং তৈরি পোশাক এক্সপোর্ট বাড়তির দিকে ছিল, সেহেতু এটা একটু হলেও আমাদের চিন্তার কারণ নতুন করে হলো। যদি ও ভুটান বা নেপালের ট্রানশিপমেন্ট এটাতে এফেক্টেড হবে না বলে জানা গেছে তবু ও সামগ্রিকভাবে ব্যবসায়িক সম্পর্কে এফেক্টে ফেলবে। চার প্রকার পণ্য মৎস, এডিবল অয়েল, এলপিজি ও ক্রাশড স্টোন এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।